Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

বিপন্ন প্রজাতির মহাশোল মাছ : প্রজনন ও চাষ ব্যবস্থাপনা

বিপন্ন প্রজাতির মহাশোল মাছ : প্রজনন ও চাষ ব্যবস্থাপনা
ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ
আবহমান কাল থেকে মাছ বাংলাদেশের খাদ্য তালিকায় অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। মিঠাপানির মাছের মধ্যে সুস্বাদু মহাশোল মাছ ‘স্পোর্ট ফিশ’ হিসেবে খ্যাত যা আজ বিলুপ্ত প্রায়। মহাশোল মাছটি অঞ্চলভেদে মহাশের, মাশোল, টর, চন্দনা ইত্যাদি নামে পরিচিত। বাংলাদেশে পাওয়া যায় মহাশোলের দুইটি প্রজাতি, একটি লাল পাখনার হিমালয়ের মহাশোল (ঞড়ৎ ঃড়ৎ), অন্যটি সোনালী মহাশোল (ঞড়ৎ ঢ়ঁঃরঃড়ৎধ)। এক সময় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় হিমালয়ের নদীগুলোতে প্রচুর পরিমাণে মাছটি দেখা যেত। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, সিলেট, দিনাজপুর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের মিঠাপানির জলাশয়ের খাল, বিল, লেকে একসময় পাওয়া গেলেও নেত্রকোনার পাহাড়ি ঝর্ণার স্বচ্ছ পানি আর সোমেশ্বরী ও কংস নদী মহাশোল মাছের প্রধান আবাসস্থল। দ্রুত আবহাওয়া পরিবর্তন, নদীগুলোর স্বাভাবিক অবস্থা ধ্বংস, নদীতে বাঁধ নির্মাণ, শুকনো মৌসুমে নদী শুকিয়ে মাছ ধরা ইত্যাদি নানাবিধ কারণে বাসস্থান ও প্রজনন ক্ষেত্র বিনষ্ট হওয়ায় এ মাছের প্রাচুর্যতা ব্যাপকহারে হ্্রাস পেয়েছে। মাছটির ডিম ধারণক্ষমতা (৬০০০-১১০০০/কেজি) অন্যান্য কার্পজাতীয় মাছের তুলনায় কম যা মাছটির বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। প্রজাতিটিকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে এবং চাষের জন্য পোনার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট মহাশোল মাছের (ঞড়ৎ ঢ়ঁঃরঃড়ৎধ) কৃত্রিম প্রজনন, নার্সারি ব্যবস্থাপনা ও চাষের কলাকৌশল উদ্ভাবনে সফলতা অর্জন করেছে।
মহাশোল মাছের বৈশিষ্ট্য : স্বাদ, পুষ্টিমান এবং অর্থনৈতিক বিবেচনায় মহাশোল মাছের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মহাশোল সাধারণত ৫২ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ওজন ৯ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর দেহ লম্বা, মুখ অধোমুখী অপেক্ষাকৃত ছোট। দেহের বর্ণ উপরের দিকটা বাদামি সবুজ, পেটের দিকটা রূপালী এবং পিঠের পাখনা লালচে বর্ণের হয়ে থাকে। মহাশোল দেখতে খুব সুন্দর, অনেকটা মৃগেল মাছের মতো। মহাশোলে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় আমিষ ও অত্যাবশ্যকীয় খনিজ পদার্থ রয়েছে। পাহাড়ি খরস্রােতা নদী, ঝর্ণা, লেক এদের মূল আবাসস্থল। শীতকালে এ মাছটি প্রজনন করে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য মাছের তুলনায় অত্যন্ত বেশি হওয়ায় এ মাছটি সহজে রোগাক্রান্ত হয় না।
মহাশোল মাছের প্রজনন : পাথরসমৃদ্ধ খরস্রােতা নদীর তলদেশ এদের প্রধান প্রজনন স্থান। জলের তাপমাত্রা, যেমন- হিমালয় থেকে প্রবাহিত বরফ গলা ঠা-া পাহাড়ি নদী, পরিষ্কার অগভীর পানি এবং মৌসুমি বৃষ্টিপাত এদের প্রজননকে উদ্দীপিত করে। উজান স্রােতে এরা যুগলবন্দী হয়ে প্রজননে অংশ নেয়। প্রজননকালে স্ত্রী মাছ প্রথমে ডিম ছাড়ে, পরে পুরুষ মাছ তার উপর বীর্যপাত ঘটিয়ে ডিম নিষিক্ত করে। এরা লিঙ্গভেদী। মুখে শক্ত ও প্রলম্বিত গোফ, বিস্তৃত-লম্বা-খসখসে বক্ষ পাখনা আইস পর্যন্ত বিস্তৃত। বক্ষ পাখনাই পুরুষদের আলিজ্ঞনাবদ্ধ করার প্রধান হাতিয়ার। পুরুষ মাছ জন্মের ২য় বছর এবং স্ত্রী মাছ ৩য় বছরে যৌন পরিপক্বতা অর্জন করে। প্রজননকালে অন্যান্য মাছের মতো এরা রঙ বদলায় না, তবে স্ত্রী মাছের পায়ু অঞ্চলটি বেশ নরম এবং হালকা গোলাপি হয়। পুরুষ মাছের আকার স্ত্রী মাছের তুলনায় ছোট হয়। বিপন্ন প্রজাতির সোনালি মহাশোলের কৃত্রিম প্রজনন, পোনা উৎপাদন ও চাষ কৌশল বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এ গবেষণায় সফল হয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে এর চাষাবাদ করা হচ্ছে। নি¤েœ মহাশোল মাছের কৃত্রিম প্রজনন, পোনা উৎপাদন এবং চাষ কৌশল বর্ণনা করা হলো।
কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল
ব্রুড মাছ প্রতিপালন : সাধারণত নভেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত এই তিন মাস মহাশোল মাছের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুম। প্রজনন মৌসুমের ১-২ মাস পূর্বে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত ব্রুড মহাশোল মাছ সংরক্ষণ করতে হবে। সারা বছর পানি থাকে এমন পুকুর (৪-৫ ফুট) প্রজননক্ষম মাছের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। ব্রুড মাছ হেক্টর প্রতি ১,০০০-১,৫০০টি মজুদ করলে এবং পুকুরের পানির তাপমাত্রা ১৭-২২ ডিগ্রি সে. বজায় রাখলে সবচেয়ে ভালো হয়।
খাদ্য প্রয়োগ ও পরিচর্যা : মাছের পরিপক্বতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিন পুকুরে ২-৩ ঘণ্টা পরিষ্কার পানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত পানির তাপমাত্রা, পিএইচ, দ্রবীভূত অক্সিজেন, অ্যামোনিয়া, ক্ষারত্বের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। মজুদকৃত ব্রুড মাছকে ২৫% প্রোটিনসমৃদ্ধ সম্পূরক খাদ্য দৈহিক ওজনের ৪-৫% হারে প্রতিদিন সরবরাহ করতে হবে। এ ছাড়া ভাসমান পিলেট খাবার সম্পূরক খাবার হিসেবে দেয়া যেতে পারে। পুকুরের উৎপাদনশীলতা বজায় রাখার জন্য হেক্টরপ্রতি ২৫ কেজি ইউরিয়া ও ৪০ কেজি টিএসপি ১৫ দিন পর পর পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করতে হবে।
প্রজনন ও পোনা প্রতিপালন কৌশল : প্রজনন মৌসুমে পরিপক্ব স্ত্রী মাছের ডিম্বাশয় ডিমে ভর্তি থাকে বলে পেট ফোলা ও স্ফীত হয় এবং বক্ষ পাখনা মসৃণ থাকে। পুরুষ মাছের বক্ষ পাখনা খসখসে এবং জননাঙ্গের সামান্য উপরে চাপ দিলে সাদা মিল্ট বের হয়ে আসে। এ মাছের প্রজননের জন্য কোন প্রকার হরমোন প্রয়োগ করতে হয় না। শুধুমাত্র চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে পরিপক্ব স্ত্রী ও পুরুষ মাছ থেকে ডিম ও মিল্ট সংগ্রহ করতে হয়। সংগৃহীত ডিমের সাথে ১-২ ফোটা মিল্ট মিশিয়ে ০.৮% সোডিয়াম ক্লোরাইডের ফিজিওলজিক্যাল দ্রবণ দিয়ে ডিম নিষিক্ত করা হয়। নিষিক্ত ডিমগুলোকে কয়েকবার ডিপ-টিউবওয়েলের পানি দিয়ে ধুয়ে ডিমের আঠালোভাব দূর করে হ্যাচিং জারে স্থাপন করতে হবে। সাধারণত ২১-২৩ ডিগ্রি সে. পানির তাপমাত্রায় ৮০-৮৫ ঘণ্টা পর ডিম ফুটে লার্ভি বের হয়ে আসে। মহাশোল মাছের ডিমের পরিস্ফুটনের হার ৭০-৭৫% হয়ে থাকে। লার্ভির বয়স পাঁচ দিন হলে এদের খাবার হিসেবে    হাঁস-মুরগীর ডিমের সিদ্ধ কুসুম সরবরাহ করা হয় এবং এ সময়ই রেণুপোনা আঁতুড় পুকুরে ছাড়ার উপযোগী হয়। এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত রেণুপোনার বাঁচার হার ৮০-৯০% হয়ে থাকে।
মহাশোল মাছের নার্সারি পুকুর ব্যবস্থাপনা
পুকুর নির্বাচন ও প্রস্তুতি : নার্সারি পুকুরের আয়তন ১০-২০ শতাংশ এবং গভীরতা ০.৮০-১.০ মিটার হতে হবে। পানির গুণাগুণ ব্যবস্থাপনায় ইনলেট ও আউটলেট থাকা নার্সারি পুকুর অত্যন্ত ফলপ্রসূ। সাধারণত কার্পজাতীয় মাছের নার্সারি ব্যবস্থাপনার মতো মহাশোলের নার্সারি পুকুর থেকে বিভিন্ন ধরনের জলজ আগাছা যেমন-কচুরিপানা, টোপা পানা এবং তšুÍÍ জাতীয় বিভিন্ন শেওলা দমন করতে হবে। অতঃপর পুকুর শুকিয়ে বা রোটেনন (১ পিপিএম) প্রয়োগ করে রাক্ষুসে ও অন্যান্য অবাঞ্ছিত মাছ দমন করতে হবে। শুষ্ক পুকুরের তলদেশে বা নির্ধারিত গভীরতায় পানিতে প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে। প্রাকৃতিক খাবার উৎপাদনের জন্য চুন প্রয়োগের ১-২ দিন পর প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে জৈবসার (গোবর) প্রয়োগ করতে হবে। জৈবসার (গোবর) প্রয়োগের ৫-৬ দিন পর পুকুরের পানি হালকা বাদামি রঙ ধারণ করলে পুকুর পোনা মজুদের উপযোগী হয়।
রেণুপোনা সংগ্রহ ও নার্সারিতে মজুদ : হাঁস পোকাসহ অন্যান্য অনিষ্টকারী পোকা বা বড় আকারের জুপ্লাংক্টন দমন করার জন্য পোনা মজুদের ২৪ ঘণ্টা পূর্বে প্রতি শতাংশে সুমিথিয়ন ১০ মিলি হারে প্রয়োগ করতে হবে। নার্সারি পুকুরে ৫ দিন বয়সে রেণুপোনা (১.১২-১.২৫ সেমি.) প্রতি শতাংশে ৩,০০০টি (৭৫০,০০০ টি/হেক্টর) ছাড়তে হবে। নার্সারি পুকুরে পোনা মজুদের পর সম্পূরক খাবার হিসেবে ১ম সপ্তাহে নার্সারি ফিড এবং পরবর্তী ৬ সপ্তাহ স্টার্টার-১ ফিড পোনার দৈহিক ওজনের ৭-১০ ভাগ হারে প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে একবার নমুনায়ন করে পোনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে খাবারের পরিমাণ সমন্বয় করতে হবে। এভাবে ২ মাস পোনা লালন পালনের পর পোনার আকার ৬.০-৭.০ সেমি. হলে চাষের পুকুরে ছাড়ার উপযোগী হয়।
পোনা উৎপাদন ও আহরণ : নার্সারি পুকুরে ২ মাস লালনের পর পর্যায়ক্রমে জাল টেনে এবং পুকুর শুকিয়ে চারা পোনা আহরণ করা হয়। এ ধরনের নার্সারি ব্যবস্থাপনায় হেক্টরপ্রতি গড়ে ৫.০-৫.৫ লক্ষ অঙ্গুলী পোনা উৎপাদন করা যায়।
মহাশোল মাছের মিশ্রচাষ ব্যবস্থাপনা : আধুনিক মৎস্য চাষে রুই জাতীয় মাছের সাথে মহাশোল মাছের মিশ্রচাষ করা যায়। ফলে পুকুরের সকল স্তরের পানির উৎপাদনশীলতাকে সম্পূর্ণ কাজে লাগিয়ে কাক্সিক্ষত পরিমানে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। পুকুরের বিভিন্ন স্তরে বিদ্যমান সব ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্যের সর্বত্তোম ব্যবহার নিশ্চিত করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি হলো মিশ্রচাষের প্রধান উদ্দেশ্য।
পুকুর নির্বাচন ও প্রস্তÍতি : মিশ্রচাষের জন্য পুকুরের আয়তন ৪০-১০০ শতাংশ এবং বছরে ৮-১২ মাস ১.০-১.৫ মিটার পানি থাকে এরকম পুকুর নির্বাচন করতে হবে। মহাশোল মাছের চাষ পদ্ধতি অনেকটা অন্যান্য কার্পজাতীয় মাছের চাষ পদ্ধতির মতই। জলজ আগাছা যেমন- কচুরিপানা, কলমীলতা, হেলেঞ্চা ইত্যাদি শেকড়সহ দমন করা প্রয়োজন। পুকুর শুকিয়ে অথবা রোটেনন পাউডার প্রয়োগ করে রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছ দমন করতে হবে। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি হেক্টরে ২৫০ কেজি হারে চুন ছিটিয়ে দিতে হবে। চুন প্রয়োগের ৩-৪ দিন পর প্রতি হেক্টরে ১২.৫ কেজি ইউরিয়া এবং ২৫ কেজি টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগের ৬-৭ দিন পর পুকুরের পানি সবুজাভ হলে মাছের পোনা মজুদের উপযোগী।
সম্পূরক খাদ্য ও সার প্রয়োগ ব্যবস্থাপনা কৌশল : মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি পুকুরে সম্পূরক খাবার সরবরাহ করতে হবে। মাছ ছাড়ার পরের দিন থেকে মজুদকৃত পোনার দৈহিক ওজনের শতকরা ২-৬ ভাগ হারে সম্পূরক খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। প্রতি মাসে নমুনায়ন করে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ মাছের দৈহিক ওজনের সহিত সঙ্গতি রেখে সম্পূরক খাদ্যের সমন্বয় করতে হবে। পোনা ছাড়ার ১৫ দিন অন্তর প্রাকৃতিক খাদ্যের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে প্রতি হেক্টরে ১২.৫ কেজি ইউরিয়া ও ২৫ কেজি টিএসপি পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে পানির গুণাগুণ যেমন-তাপমাত্রা, অক্সিজেন, পিএইচ, মোট ক্ষারত্ব ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
মাছের উৎপাদন ও আহরণ : পোনা মজুদের ৮-১০ মাস পর জাল টেনে বা পুকুর শুকিয়ে মাছ আহরণ করতে হবে। জীবিত বা তাজা মাছ বাজারে বিক্রি করে অধিক মুনাফা পাওয়ার লক্ষ্যে সময়মতো মাছ আহরণ নিশ্চিত করতে হবে। বাৎসরিক পুকুরে ৮-১০ মাস মিশ্রচাষে মহাশোল মাছ ৬০০-৮০০ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে। মিশ্রচাষে হেক্টর প্রতি কাতলা ২২০০-২৪০০ কেজি, রুই ১৫০০-১৭০০ কেজি, মৃগেল ৭০০-৭৫০ কেজি এবং মহাশোল ৬৫০-৭০০ কেজি পর্যন্ত উৎপাদন পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত কৌশল অনুসরণ করে ব্যক্তি মালিকানাধীন ও সরকারি মৎস্য হ্যাচারিসমূহে মহাশোল মাছের পোনা উৎপাদন নিশ্চিত করা সম্ভব। মহাশোল মাছের চাষাবাদ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা গেলে চাষের মাধ্যমে এতদাঞ্চল তথা দেশে এই প্রজাতির উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে এবং বিপদাপন্ন অবস্থা থেকে এ প্রজাতিকে সুরক্ষা করা যাবে। সে সাথে অনেক দামে বাজারে বিক্রি হওয়া মহাশোলের মূল্য হ্রাস পাবে এবং হারিয়ে যাওয়া সোনালি মহাশোল সুলভ মূল্যে ভোক্তাদের খাবার টেবিলে ফিরে আসবে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট অপর প্রজাতির মহাশোল (ঞড়ৎ ঃড়ৎ) নিয়ে বর্তমানে গবেষণা চলমান রয়েছে।

লেখক : মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, ময়মনসিংহ। ফোন : ০৯১৬৫৮৭৪, ই-মেইল : dgbfri@gmail.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon